কয়রা ডেস্ক : পাইকগাছা-কয়রা ভায়া চাঁদখালী সড়কটি ভেঙ্গেচুরে যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যাত্রীবাহী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন। বিশেষ করে পাইকগাছা অংশের চাঁদখালী ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকা ও কয়রাঅংশের চাঁদআলী ব্রীজের দক্ষিণ পাড় থেকে কয়রা সদর পর্যন্ত সড়ক ভেঙ্গে ভেঙ্গে বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা ভাঙ্গার কারনে ছোটখাট দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ।
"সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা-কয়রা ভায়া চাঁদখালী সড়কের দৈঘ্য প্রায় ৩৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাইকগাছা থেকে চাঁদআলী ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ২৪ কিলোমিটার এবং চাঁদআলীব্রীজ থেকে কয়রা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এরমধ্যে শিববাড়ি ব্রীজ থেকে (ভায়া চাঁদখালী) কয়রার আমাদী ইউনিয়নস্থ মসজিদকুড় পর্যন্ত রাস্তা এলজিইডি ও বাকি রাস্তা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন।
"খুলনা মটরশ্রমিক ইউনিয়নের নবনির্বাচিত মেম্বার শেখ মিথুন মধু বলেন, রাস্তা ভাঙ্গার কারনে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০/১২টি করে যাত্রীবাহী বাসের যাফন্ত্রক ত্রুটি দেখা দিচ্ছে। এতে লাভের চেয়ে মহাজনের লোকসান গুণতে হচ্ছে বেশি। তবুও যাত্রীবাহী বাস চলাচল সচল রাখা হয়েছে শুধুমাত্র সাধারণ যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে।
"বাস মালিক সমিতির অত্র সড়কের লাইন সেক্রেটারী শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, অত্র সড়কের চাঁদখালী ইউনিয়নের সাহাপাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য এলাকাবাসি পাইকগাছা-কয়রা সড়ক কেটে দেয়। সেই কাটা অংশে লোহার একটি পাত ফেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। যদিও ওই জায়গাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তাছাড়া চাঁদআলী ব্রীজের দক্ষিণ পাড় থেকে কয়রা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তার এতটুকু জায়গা ভালো নেই যেখানে নির্বিঘেœ যানবাহন চলাচল করতে পারে।
"কয়রা উপজেলা থেকে জেলা শহর খুলনাসহ সারা দেশের সাথে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কেরগুরুত্ব বলাই বাহুল্য। অথচ সড়কটি দীর্ঘ বছর যাবৎ এভাবে ভেঙ্গেচুরে পড়ে রয়েছে। আইলা দুর্গত কয়রার উন্নয়ন অনেকাংশে থমকে রয়েছে শুধুমাত্র রাস্তা ভাঙ্গার কারণে। জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।
শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks for Comments at কয়রার সংবাদ